(মাতসুও বাশোর ভাবছায়ায়)
প্রাচীন পুকুর অপেক্ষায় — ঢেউ নেই অন্তরে,
শুধু শ্বাসহীন নীরবতা ম্যাপল শিখার নিচে।
একটি সারস উড়ে যায়; আকাশ ভুলে যায় কান্না,
রয়ে যায় শুধু স্তব্ধতা, নামহীন মেঘের ভেলায়।
পথিক পথ চলে — প্রতি পদে ঘণ্টার আওয়াজ,
ছায়া দীর্ঘতর হয়ে পড়ে শেওলা আর শীতল পাইনের দেহে।
শরৎ যেখানে থাকে, সেখানে পথ হারায় না কেউ,
প্রতিটি পাথর আর পাতা হয়ে ওঠে প্রতীকের মত।
পাথরের মন্দির কী প্রয়োজন আমার?
যখন নলখাগড়ার বাতাসে স্তোত্রপাঠের সুর।
চাঁদের আলোর আলপনা আমার আস্তিনে — আমার একলা ঘুমে,
তবুও অনুভবে থেকে যায় এই ভাসমান জগৎ।
শব্দগুলো ঘাসের ওপর দিয়ে চলে যায়, শিশিরের মত
তার পর শুধু নীরবতা, অনন্ত, কালাতীত।